তবে এসব মরদেহ করোনা রোগীদের কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ, করোনার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে কি না, এমন প্রশ্ন সরাসরি এড়িয়ে গেছেন শ্মশানে কাজ করা লোকজন। এদিকে আজ নতুন করে করোনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে চীন সরকার। সরকারি ভাষ্যমতে, আগের দিন সোমবার মারা গিয়েছিলেন আরও দুজন। দুদিনে মারা যাওয়া সাতজনই বেইজিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন।
২০১৯ সালে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত চীনে মোট ৫ হাজার ২৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে দেশটির সরকার। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও চীনে করোনায় এই মৃত্যু অন্যান্য দেশের তুলনায় বহু কম।
চীনে চলতি মাসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে শহরগুলো থেকে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার। এর পর থেকেই হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। চাহিদা মেটাতে পারছে না ওষুধের দোকানগুলো। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, আগামী কয়েক মাসে চীনের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। আর মৃত্যু হতে পারে ২০ লাখের বেশি মানুষের।
এদিকে রাজধানী শহর বেইজিংয়ে করোনায় মৃতদের সৎকারের জন্য ব্যবহৃত একটি শ্মশানের বাইরে অনেক গাড়ির সারি দেখা গেছে। মরদেহবাহী এসব গাড়ির অনেকটিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। চংকিং শহরের এক শ্মশানকর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। মরদেহ রাখার জন্য তাঁদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে জায়গা শেষ হয়ে আসছে। তবে এসব মৃত্যুর কারণ করোনা কি না, তা জানাতে রাজি হননি তিনি।
গুয়াংঝৌ শহরের একটি শ্মশানের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা এখন দিনে ৩০টির বেশি মরদেহ সৎকার করছেন। অন্য জেলা থেকেও সৎকারের জন্য মরদেহ আসছে। শহরের আরেকটি শ্মশানের এক কর্মী জানিয়েছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় তাঁরা তিন থেকে চার গুণ বেশি ব্যস্ত। দিনে ৪০টির বেশি মরদেহ সৎকার করতে হচ্ছে।
মরদেহ সৎকার করতে গিয়ে কেমন চাপ সামলাতে হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল বায়োদিং শহরের এক শ্মশানকর্মীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখন খুবই ব্যস্ত আছি। আর আপনি একটি শ্মশান দেখান তো, যেটি আমাদের মতো চাপে নেই।’