দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে মঠবাড়িয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা কমিটি। সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন (দুলাল) আহ্বায়ক ও আবু বকর সিদ্দিক সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। অপর দিকে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক ও নাজমুল আহসানকে সদস্যসচিব করে চার সদস্যের পৌর কমিটি করা হয়। দলের একটি অংশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রুহুল আমিনকে মেনে নিলেও কয়েক জন যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্যসচিব ও পৌর কমিটির আহ্বায়কের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হন।
এর প্রতিবাদে আজ ঝাড়ুমিছিল ও কুশপুত্তলিকা পোড়ানো শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করেন বিক্ষুব্ধ অংশের নেতাকর্মীলা। পৌর বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মাতুব্বর, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মল্লিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শামীম মৃধা একসময়ে জাতীয় পার্টি করতেন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। তাঁকে দেওয়া হয়েছে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা আওয়ামী লীগের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন।
বক্তারা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কমিটির দুই নেতা উপজেলা ও পৌর কমিটিতে টাকার বিনিময়ে পদ বাণিজ্য করেছেন। দলের অনেক ত্যাগী নেতা থাকার পরেও গুরুত্বহীন ও বিতর্কিতদের পদ দেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কমিটিতে যোগ্য ব্যক্তিদের পদ দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো পদ নিয়ে বাণিজ্য করা হয়নি।