ভুলের কারণে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল স্থগিত

0
224
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিষ্ট অনুজ কুমার রায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, অল্প কিছু ভুল হয়েছিল। এখন সংশোধনের কাজ চলছে।

এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফল প্রকাশ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে মেধা কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার জন ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। এতে একেকটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটিতে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এই পরীক্ষা হয়।

করোনার পাশাপাশি গত জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়টি মাথায় রেখে গত তিন বছর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। আগামী দিনেও আর এই পরীক্ষা হচ্ছে না বলেই জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় আকস্মিকভাবেই এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

যদিও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলে আসছিলেন, বছরের শেষে এসে হঠাৎ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া একদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ক্ষতিকর বিষয় হবে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আসছে, তার জন্যও নেতিবাচক হবে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.