দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান মনে করেন, একটি ভালো চলচ্চিত্র নিয়ে বিনোদন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষজন সরব হলে সামগ্রিকভাবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লাভ হবে। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ নিয়ে ভালো ছবির অনুরাগীদের নীরবতায় তিনি হতবাক হয়ে নিজের কিছু ভাবনার কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সোমবার সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসের শুরুতে জয়া লিখেছেন, ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের সিনেমা হলে চলছে। আমাদের দেশে যারা ভালো ছবির জন্য তৃষ্ণার্ত, এমন একটি অপূর্ব ছবি নিয়ে তাঁদের নীরবতায় আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি, যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটি তো আমাদেরও, নাকি? অপি করিম আর সোহেল মণ্ডল ছবিটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছে। ছবিটির মূলে আছে বাংলা ভাষার জাদুকর লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।’
জয়ার মন্তব্য, ‘ভালো ছবি নিয়ে আমাদের পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীরা সরবে কথা বলতে থাকলে তবেই না ভালো ছবির আবহাওয়াটা গড়ে উঠবে, দর্শকদের তৃষ্ণা বাড়বে।’
জসীম আহমেদ প্রযোজিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবিটি দেখেছেন জয়া আহসান। তিনি এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এভাবে, ‘আমাদের নাগরিক সমাজের একেবারে প্রান্তে জীবনযাপন করা কিছু মানুষের এমন মায়াভরা সিনেমা আমি দেখিনি। জীবনের কঠিন কষাঘাত তাদের ম্রিয়মাণ, তিক্ত আর বাঁকা করে তুলেছে; কিন্তু সব ছাপিয়েও মমতা কীভাবে শেষ পর্যন্ত মানুষকে মানুষের সঙ্গে বেঁধে রাখে– সেই গল্পই দেখিয়েছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী।’
জয়ার আহ্বান, ‘ভালো বাংলা ছবির চৌহদ্দী বড় করতে চাইলে আমাদের মনটাও তো প্রসারিত করতে হবে। আমরা সবাই যেন ভালো ছবির সঙ্গে থাকি।’
‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবির পরিচালক ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর পরিচালনায় টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য নির্মিত চলচ্চিত্র ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ এবং ‘ভালোবাসার শহর’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্প অবলম্বনে ‘মায়ার জঞ্জাল’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী নিজেই। ২০১৩ সালে ‘ফড়িং’ ছিল তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।
‘মায়ার জঞ্জাল’-এর মাধ্যমে ১৯ বছর পর রুপালি পর্দায় প্রত্যাবর্তন করলেন অপি করিম। অন্যদিকে প্রধান চরিত্রে সোহেল মণ্ডলকে এর আগে দেখা যায়নি। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি, ঋত্বিক চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়, দীপক হালদার, জয়দীপ মুখার্জি, অমিত সাহা ও কমলিকা ব্যানার্জি। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস এবং কলকাতার প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক।