বাড়িতে পাওয়া গেল ছোট্ট সারার মরদেহ, বাবা ও তাঁর সঙ্গীকে খুঁজছে পুলিশ

0
114
সারা শরিফ, ছবি: সারে পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

যুক্তরাজ্যের সারে কাউন্টিতে বাসার ভেতর থেকে ১০ বছর বয়সী এক মেয়েশিশু সারা শরিফের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত চলছে। পুলিশ তার বাবা, বাবার নারী সঙ্গী ও চাচাকে খুঁজছে। সারা বাইফ্লিটের সেন্ট মেরি’স চার্চ অব ইংল্যান্ড প্রাইমারি স্কুলে পড়ত। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, সারা খুব হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত মেয়ে ছিল।

গত ১০ আগস্ট সারে কাউন্টির ওকিংয়ে নিজ বাড়ি থেকে সারার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

সারার মৃতদেহ উদ্ধারের এক দিন আগে ৯ আগস্ট বাবা উরফান শরিফ (৪১) তাঁর সঙ্গী বেনাশ বাটুল (২৯) ও তাঁর ভাই ফয়সাল মালিক (২৮) পাকিস্তানের উদ্দেশে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা ইসলামাবাদে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজ করা হচ্ছে।

সারে পুলিশ জানিয়েছে, উরফান শরিফ, তাঁর সঙ্গী ও ভাই এবং ১ থেকে ১৩ বছর বয়সী পাঁচ সন্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদে নামার পরপরই পাকিস্তান থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন। তাঁর ফোন পেয়েই পুলিশ সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে সারার মরদেহ উদ্ধার করে। সারার শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সারের ওয়েস্ট বাইফ্লিটে পরিবারটির আগের ঠিকানাও পুলিশ অনুসন্ধান করছে।

সারার স্কুলের প্রধান শিক্ষক জ্যাকি চেম্বারস বলেছেন, ‘আমরা সারাকে খুব মিস করব। সে খুবই হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত মেয়ে। সে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল, অনেক সুন্দর করে হাসত। সবকিছুতে তার খুব উৎসাহ ছিল।’

জ্যাকি চেম্বারস আরও বলেন, সারা এই স্কুলে পাঁচ বছর ধরে ছিল। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় তার জন্য আমাদের প্রার্থনা।’ তিনি আরও বলেন, পুলিশ তদন্তের কারণে তিনি আর বেশি কিছু বলতে পারছেন না। তবে তদন্তকারী সংস্থার প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সমর্থন আছে।

পাকিস্তানের উত্তর পাঞ্জাবের ঝিলাম পুলিশের দুটি দল সারার বাবা উরফান শরিফকে খুঁজছে।

বিবিসি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.