ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৭ জনে পৌঁছেছে। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছে।
ভারী বৃষ্টির পর বন্যা ও ভূমিধসের কারণে কর্নাটক, কেরালা ও মহারাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।
জরুরি বিভাগের কর্মীরা পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষকে উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
রোববার পর্যন্ত কেবল কেরালাতেই বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনা, বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, অনেক বাড়িঘর এখনও ১০-১২ ফুট কাদায় ঢেকে আছে। এ পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
গত বছর কেরালায় বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
কর্নাটকের প্রাচীন শহর হাম্পিতে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি স্থাপনাও বন্যার পানিতে ডুবে আছে।
এ দফার বৃষ্টি-বন্যায় রোববার পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার বাসিন্দা। আর মহারাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকার রেল যোগাযোগ চালু করতে সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগতে পারে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এবছর আসাম, বিহার ও গুজরাতের অনেক এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।