ভারতকে ‘সতর্কবার্তা’ দিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী

0
776
কাশ্মীর। ফাইল ছবি

কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি বিনষ্ট করার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে দায়ী করে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা অসত্য বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তার ওই বক্তব্যকে শুক্রবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ‘স্বাভাবিক ভয়ঙ্কর মিথ্যা’ বলে অভিহিত করে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ক্যানওয়াল জিত সিং ধিলন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তান সবসময়ই কাশ্মীর উপত্যকার শান্তি বিনষ্ট করছে।

ডন বলছে, শুক্রবার পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইট বার্তায় ধিলনের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।

আসিফ গফুর বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই বক্তব্য স্বাভাবিক ভয়ঙ্কর মিথ্যা। তারা কোনও ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে। সেটা অবশ্যই ২৭ ফেব্রুয়ারির চেয়ে কঠোরভাবে। ওইদিন পাকিস্তান বাহিনী গুলি করে ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত করে পাইলটকে আটক করেছিল।

ভারতের রাজ্যসভায় সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়।

৩৭০ ধারার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বায়ত্তশাসিত ছিল জম্মু-কাশ্মীর। নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা ও স্বতন্ত্র আইন বানানোর অধিকার ছিল ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।

ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইমরান খান। পার্লামেন্টে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখন জাতিগত নিধন চালানো হবে।

৩৭০ ধারা বাতিল করায় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.