ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের ভাগনার বাহিনীর ভাড়াটে যোদ্ধাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, এখন এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ, এরই মধ্যে ভাগনার মস্কো অভিমুখে যাওয়া তাঁর সৈন্যদের ফিরতে বলেছেন এবং বেলারুশে নির্বাসনে যেতে রাজি হয়েছেন।
অনেকে ভবিষ্যদ্বাণী করছেন এই বাহিনীকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে মনে হয় বিষয়টি এমনটা হবে না। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, কারণ বাহিনীটি আবারও নিয়োগ শুরু করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক শহরে থাকা বাহিনীটির একজন কর্মী তাসের এক সংবাদদাতাকে বলেন, ‘নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে।’ ওই সংবাদদাতা আরও বলেছেন, ভাগনারের প্রচারে ব্যবহৃত ব্যানারগুলো শনিবার সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে ভাগনার বাহিনীর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট দেখা গেছে। দিনের শুরুতে সেখানে বলা হয়, এই সময়েও বিশেষ অভিযান এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাগনার বাহিনীতে নিয়োগ চলমান রয়েছে। সেখানে আবেদনকারীদের পাসপোর্ট বা এর একটি কপি নিয়ে আসতে বলা হয়। ক্রাসনোদারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মোলকিনোতে একটি সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এই নিয়োগ অনুষ্ঠিত হবে।
গত শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে মস্কোর উদ্দেশে অভিযান শুরু করেন প্রিগোশিন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধে রাজি হন তিনি। এরপর রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্রোহ শুরু করার কারণে প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা খারিজ করা হবে। একই সঙ্গে ভাগনারের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।