ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলে ব্রাজিলের ক্লাবের স্বপ্ন চূর্ণ করে ফাইনালে চেলসি

0
31
ব্রাজিলিয়ান পেদ্রোর কাঁধে চড়ে আর্জেন্টাইন এনজোর উদ্‌যাপনএক্স

চেলসির হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন হোয়াও পেদ্রো। ব্রাজিলিয়ান এই তরুণের জোড়া গোলেই ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি।

দল বদলে মাত্র সাত দিন আগে ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যোগ দেন হোয়াও পেদ্রো। সেদিনই তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় চেলসির ক্লাব বিশ্বকাপ দলে। তিন দিন পর স্বদেশি ক্লাব পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেকও হয় তাঁর। সেদিন ৩৬ মিনিট মাঠে থেকে বিশেষ কিছু করতে পারেননি।

পালমেইরাসের বিপক্ষে অভিষেক হলেও গতকাল রাতে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই প্রথমবারের মতো একাদশে জায়গা পান ২৩ বছর বয়সী পেদ্রো। আর চেলসির হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সুযোগ পেয়ে করেছেন বাজিমাত। শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে করেছেন জোড়া গোল। তাতে ফ্লুমিনেন্সকে ২–০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে চেলসি।

আর এর মধ্য দিয়ে থামল ক্লাব বিশ্বকাপে ফ্লুমিনেন্সের চমক জাগানো অভিযাত্রাও।
ফ্লুমিনেন্সের বিদায়ের মধ্য দিয়ে টানা ১৩ বারের মতো ফিফা আয়োজিত ক্লাব পর্যায়ের টুর্নামেন্টের শিরোপা ইউরোপিয়ান ক্লাবের হাতে থাকা নিশ্চিত হলো। সর্বশেষ ২০১২ সালে চেলসিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল করিন্থিয়ান্স।আগামী রোববার রাতে ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে আজ রাতে অপর সেমিফাইনালে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে জয়ী দল।

নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে চেলসি ও ফ্লুমিনেন্স। তবে আক্রমণ, প্রতি–আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ১৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে চেলসিকে এগিয়ে দেন পেদ্রো। আক্রমণে ওঠার একপর্যায়ে বাঁ পাশে ফ্লুমিনেন্স বক্সের কাছাকাছি জায়গায় বল পান পেদ্রো। সেখান থেকেই দূরের পোস্ট তাক করে শট নেন। ফ্লুমিনেন্স গোলরক্ষক ফাবিও ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি বলের।

নিজের শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে অবশ্য উদ্‌যাপন করেননি পেদ্রো।
গোল খেয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্লুমিনেন্স। একটু পর মার্ক কুকুরেয়া গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে না দিলে তখনই সমতায় ফিরতে পারত ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ৩৬ মিনিটে হ্যান্ডবলের কারণে রেফারি প্রথমে ফ্লুমিনেন্সের পক্ষে পেনাল্টি দিলেও পরে ভিএআর সেটি বাতিল করেছে।

বিরতির পরও একই ধারায় চলতে থাকে লড়াই। ৫৬ মিনিটে ফ্লুমিনেন্সের ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা একরকম বন্ধই করে দেন ক্লাবটির ঘরের ছেলে পেদ্রো। এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে দারুণ এক গোল করেন। এই গোলের পরও উদ্‌যাপন করেননি পেদ্রো।

এরপর ফ্লুমিনেন্স চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। এর আগে ২০১২ ও ২০২১ সালে ফাইনাল খেলেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ২০১২ সালে রানার্সআপ হলেও ২০২১ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা।

ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বলেন, ‘এটা দারুণ অর্জন। মৌসুমটা দারুণ গেল। লিগে সেরা ছিলাম, কনফারেন্স লিগ জিতলাম এবং এখন এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলাম। আমরা দারুণ আনন্দিত। আমরা এখন মৌসুমের শেষ ম্যাচে পৌঁছে গেছি। আশা করি টুর্নামেন্টটা জিততে পারব।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.