ব্যাংক-গ্রাহকের আলোচনায় নির্ধারিত হচ্ছে ডলারের দাম

0
7
বাংলাদেশ ব্যাংক

আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে অস্থির ডলার বাজার। নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দাম নির্ধারণের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হয় ব্যাংকগুলোর ওপর। তাতেও কাজ না হওয়ায় চালু করা হয় ক্রলিংপেগ। এরপরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাম।

শেষমেষ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে এবার বাজারমুখী করা হয়েছে ডলার। ব্যাংক গ্রাহক আলোচনার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হচ্ছে দাম। দিনে দুই দফায় ব্যাংকগুলো থেকে দাম সংগ্রহ করে ভিত্তিমূল্য প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে দেখা গেছে ১২১.৫০ থেকে ১২২ কাছাকাছি লেনদেন হচ্ছে প্রতি ডলার। দাম নির্ধারণের এ পদ্ধতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যাংকারররা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজারের ভিত্তিতে ডলারের দাম নির্ধারণ হওয়া উচিত। আর্টিফিশিয়াল কোনো জিনিসকে আটকে রাখা যাবে না। মার্কেটের ওপর ছেড়ে দেয়া হলে দেখা যাবে যে কোনোদিন মার্কেট আপ হবে, আবার কোনোদিন সাপ্লাই বেড়ে গেলে মার্কেট ডাউন হবে। আপস অ্যান্ড ডাউন হতে হতে একসময় স্থিতিশীল অবস্থায় চলে যাবে।

এর ফলে মজুদ করার প্রবণতা কমবে। তবে কেউ যেন কারসাজির মাধ্যমে বাজার অস্থির করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বললেন, বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে তো নিয়ন্ত্রণটা বাজারের হাতে চলে যায়, তখন তো তদারক সংস্থার নিয়ন্ত্রণটা হচ্ছে কেউ যাতে কারসাজি করতে না করে। কারণ, বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার অর্থই তো কেউ কেউ মার্কেটকে বিকৃত করতে পারে। ওটা যদি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা ঠিকমতো দেখাশোনা করা গেলে, বাজার বাজারের মতোই চলবে। চাহিদা ও সরবরাহ অনুযায়ী চলবে।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কারসাজির বিষয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। লেনদেন অনিয়মের তথ্য পেলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালক শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, উদাহারণ আমাদের আগেও রয়েছে। আমরা ট্রেজারি প্রধানদের ওপর ব্যবস্থা নিয়েছি। এমনকি সিইওদের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত যে উইনফুল গেইন করেছে, সেগুলো নিয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছে। আশাকরি এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কারসাজির সুযোগ একেবারেই থাকবে না বাজারে।

উল্লেখ্য, ডলার বাজারমুখী করা হলেও খোলার বাজারে দামের ওপর এখনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। নগদ ডলার লেনদেন হচ্ছে ১২৫ টাকায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.