ব্যান্ডগুলো ছুটছে ভিন্ন ভিন্ন দেশে

0
96
যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক মঞ্চ মাতিয়েছেন জেমস

বর্ষাকাল। যখন-তখন আষাঢ়ে বৃষ্টির আনাগোনা। আউটডোর কনসার্ট তাই কারও ভাবনাতেই থাকে না। সে কারণে ইনডোর কনসার্ট বেড়ে গেছে এমনও নয়। অতীতেও এমন হয়েছে। বর্ষা মৌসুম মানেই যেন গায়ক-গায়িকা, বাদ্যযন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যান্ড সদস্যের অনেকটা ঘরবন্দি থাকা। কিন্তু এবার চিত্র পুরোপুরি উল্টে গেছে। হঠাৎ বেড়ে গেছে কনসার্টের সংখ্যা। তবে দেশে নয়; বিদেশ-বিভুঁইয়ে। যে কারণে একক শিল্পী ছাড়াও দেশীয় ব্যান্ডগুলো ছুটছে ভিন্ন ভিন্ন দেশে।

গত মে মাসে নগর বাউল ব্যান্ড নিয়ে মার্কিন মুল্লুকে ছুটে গেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জেমস। এর পর চষে বেড়াচ্ছেন লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর। লাখো ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন এক মঞ্চ থেকে আরেক মঞ্চে। শুনিয়ে যাচ্ছেন শ্রোতাপ্রিয় গানগুলো। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, নগর বাউলের প্রতিটি শোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তাঁর কনসার্টে ছুটে যাওয়ার মুহূর্তে বড় বড় পথঘাটেও দর্শক তৈরি করে ফেলেছেন ট্র্যাফিক জ্যাম। আমেরিকায় এমন দৃশ্য কবে চোখে পড়েছে, বলা কঠিন। নগর বাউল ছাড়াও ব্যান্ড চিরকুট তাদের ‘দ্য লিগ্যাসি ট্যুর ইউএসএ-২০২৩’ কনসার্ট ট্যুর উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে পারফর্ম করেছে। কুড়িয়েছে অগণিত দর্শকের ভালোবাসা। এদিকে গত মাসে ইউরোপ সফরে বেরিয়েছে দেশের আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্ক। এরই মধ্যে ১৮ জুন নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম, ২৪ জুন সুইডেন, ২ জুলাই অস্ট্রিয়ায় পারফর্ম করেছে ব্যান্ডটি।

আগামী ৯ জুলাই আর্ক পারফর্ম করবে ছবি আর কবিতার দেশ ফ্রান্সে। একই দিন ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে অবস্থান করবে দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড সোলস। এদিন লন্ডনের বারডেট রোডের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়ামে পারফর্ম করবে ব্যান্ডটি। পরদিন বার্মিংহামে আরেকটি সংগীতায়োজনে অংশ নেবে। ইংল্যান্ডের পর চলতি বছরেই আর্টসেলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা রয়েছে সোলসের। শুধু এবারের বর্ষা মৌসুম নয়; গত বছর থেকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে দেশীয় ব্যান্ডগুলোর বিদেশ সফর। কিছুদিন আগে মাকসুদ ও ঢাকা এবং অ্যাশেজ ভারতে কনসার্ট করে আলোচনায় এসেছিল। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জামার্নিসহ আরও কয়েকটি দেশে সফর করেছে ব্যান্ডগুলো।

দলছুট, শাফিন আহমেদ ভয়েস অব মাইলস, শিরোনামহীন, বে অব বেঙ্গলসহ বেশকিছু ব্যান্ডকে বিভিন্ন মহাদেশে সফর করতে দেখা গেছে, যা দেশীয় ব্যান্ডগুলোর জন্য আশার আলো বলে মনে করেন অনেকে। সোলস, দলছুট, আর্কসহ অন্যান্য ব্যান্ড সদস্যের কথায় যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা হলো, সংগীত যাঁদের নেশা ও পেশা, তাঁদের থেমে থাকার অবকাশ নেই; বিশেষ করে যাঁদের কনসার্টের ওপর নির্ভর করেই জীবনচাকা সচল রাখতে হয়। শিল্পী, মিউজিশিয়ান ও ব্যান্ডগুলোর বিদেশ সফর পেশাদারি অবস্থানকে কিছুটা হলেও শক্ত অবস্থানে রাখে। অন্যদিকে বিদেশের কনসার্টগুলো তৃষ্ণা মেটায় বাংলা গানের প্রবাসী শ্রোতাদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.