ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বাড়বে উদ্যোক্তাদের

0
174
সামীর সাত্তার

নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাহিদা, আমদানি কার্যক্রমে নজরদারি অব্যাহত রাখা ও স্থিতিশীল বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিতকরণে জোর দেওয়া হয়েছে।

রেপো ও রিভার্স রেপোর হার যথাক্রমে ৬.৫ ও ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো ও রিভার্স রেপো রেটের কার্যকারিতা নিয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। কারণ, এর আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যা থেকে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি।

ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদের হারের সীমা ৯ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকঋণের সুদের হার দুই অঙ্কে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিশ্বের বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ, বিশেষ করে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বাড়বে।

আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে সরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ শতাংশ, যেটি চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুনে ৪০ শতাংশে রয়েছে। অন্যদিকে আগামী ছয় মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ, যেটি জানুয়ারি-জুন সময়ে রয়েছে ১১ শতাংশ।

সরকারি খাতে অধিক মাত্রায় ঋণ গ্রহণ বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহকে সংকুচিত করবে। সরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ হ্রাসের জন্য সরকারি ব্যয় কৃচ্ছ্রসাধন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনয়ন এবং অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

সমন্বিত মুদ্রা বিনিময় হার দেশের মুদ্রাবাজারকে স্থিতিশীল করবে। আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ হ্রাস করা সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.