বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেলা যত গড়াচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির খবর পাওয় যায়।
আজ সকাল ৮টা থেকে বরিশাল সিটির ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ২নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে প্রবেশ করতে নৌকার সমর্থকরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে তার ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন জানিয়েছেন, ১৫নং ওয়ার্ডের আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার এজেন্টদের বের করে দিযেছে নৌকার কর্মীরা।
ইসলামী আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সদস্য কে এম শরীয়ত উল্লাহ জানান, মানিক মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যলয় এবং এ কাদের চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে হাতপাখার পুলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে প্রার্থী ফয়জুল করিম সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানে যান। তিনি দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহতি করেন। এরপর তিনি মানিক মিয়া স্কুলের বিপরীতে কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে নৌকার কর্মীরা বাধা দেন।
শরীয়ত উল্লাহর অভিযোগ, এ সময় প্রার্থীর গাড়িবহরে থাকা হাতপাখার কর্মীদের নৌকার কর্মীরা মারধর করেছেন। এসব অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এদিকে ২৬নং ওয়ার্ডের বোর্ড স্কুল ও ফকিবাড়ি স্কুল কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন ও হুমায়ুন কবীরের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা মারামারির খবর পাওয়া গেছে।
এসব বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, ২নং ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে হাতপাখার প্রার্থী দলবলসহ ঢোকার চেষ্টা করেছিল। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)।
বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন। তারা হলেন- মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ), মো. আসাদুজ্জামান (হাতি) ও মো. কামরুল আহসান রুপন (টেবিল ঘড়ি)।
এ ছাড়া ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। এই সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।