আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, এই মাসে কালবৈশাখী প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা কম। দেশের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া বয়ে গেলেও তা প্রবল রূপ নিচ্ছে না। দেশের বেশীর ভাগ এলাকায় ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আপাতত কালবৈশাখী আসার আশঙ্কা কম। আগামী মঙ্গলবার থেকে উল্টো বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। তীব্র কালবৈশাখী ঝড় আর বজ্রপাতের মৌসুম আসতে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, টানা তীব্র রোদ থাকলে সন্ধার পর জলীয়বাস্প বেড়ে গেলে সাধারণত কালবৈশাখী ঝড় তৈরি হয়। এবার এ ধরনের টানা রোদের দেখা কম পাওয়া যাচ্ছে। বরং দিনের বেলা আকাশে সামান্য মেঘ এসে রোদের তীব্রতা কমিয়ে দিচ্ছে। তবে আজ রাত পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরতে পারে এই পূর্বাভাস দিয়ে তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিন এমন রোদ–বৃষ্টি থাকতে পারে। ২৯ মার্চ থেকে বৃষ্টি বেড়ে এপ্রিলের শুরুতে কালবৈশাখী এবং বজ্রপাত বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, আজ সকাল থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ওই বিভাগের প্রায় সবগুলো জেলায় আট থেকে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি চলছে।