ওয়ম্বেলির গ্যালারি কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ীদের সঙ্গে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের লড়াই!
এদিকে কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই বেশ অগোছালো ব্রাজিল এদিন প্রথমবার নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রের অধীনে মাঠে নেমেছিল। তাই দরিভালের শুরুটাও দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবলপ্রেমীরা। তবে সব আলোচনা ছাপিয়ে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
দলকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন বিস্ময়বালক এনদ্রিক। শুরুর একাদশে না নামলেও ম্যাচের ৭১তম মিনিটে রদ্রিগোর বদলি নেমে তার ৯ মিনিট পরই পেয়ে গেছেন গোলের দেখা। রোনালদোর পর চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে দেশের হয়ে গোলের রেকর্ড এখন এই ব্রাজিলিয়ানের দখলে।
এদিকে একবিংশ শতাব্দীতে সেলেসাওদের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন ১৭ বছর ৮ মাস ২ দিন বয়সী এনদ্রিকই। তার ওপরে আছেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলে, এদু এবং রোনালদো ‘দ্য ফেনোমেনন’। তবে এক জায়গায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন এই বিস্ময়বালক। ওয়েম্বলিতে জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করা ফুটবলার এখন তিনিই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু থেকেই দাপট দেখায় সেলেসাওরা। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রদ্রিগো। তবে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক। এরপর ম্যাচের ১২তম মিনিটে আরও একবার সুযোগ হাতছাড়া করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের পুরোটা সময়জুড়ে বেশ কিছু সুযোগ মেলেও নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে তা কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিয়াসরা। অন্যদিকে বল পজিশনে এগিয়ে থেকেও প্রথমার্ধে ব্রাজিলের সীমানায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাজিলের ওপর চাপ বাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেননি হ্যারি কেইনকে ছাড়া খেলতে নামা দলটি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮০তম মিনিটে এনদ্রিকের গোলে স্তব্ধ হয়ে যায় ওয়েম্বলির গ্যালারি।