কিস্তিতে গাড়ি বিক্রি করতে বন্ড ছাড়ছে রানার অটো

0
188
ময়মনসিংহের ভালুকায় রানারের কারখানায় তৈরি হওয়া তিন চাকার অটোরিকশা

কিস্তি সুবিধায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), সিএনজি ও বিদ্যুৎ–চালিত তিন চাকার বা থ্রি–হুইলার গাড়ি বিক্রি করতে বন্ড ছেড়ে ২৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করছে রানার অটোমোবাইলস। পাশাপাশি কোম্পানিটি ৪ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পও চালু করবে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলস গতকাল বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, ক্রেতাদের কাছে কিস্তি সুবিধায় থ্রি–হুইলার গাড়ি বিক্রির জন্য বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের এটিই প্রথম উদ্যোগ। বন্ডের মাধ্যমে কোম্পানিটি যে অর্থ সংগ্রহ করবে, তার জন্য বছরে সাড়ে ৮ থেকে ৯ শতাংশ হারে মুনাফা দেওয়া হবে। এ বন্ডের মেয়াদ হবে সাত বছর। মেয়াদ শেষে বন্ডটি অবসায়িত বা বিলুপ্ত হবে।

এত দিন আমরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি সুবিধায় ক্রেতাদের কাছে থ্রি–হুইলার বিক্রি করতাম। ক্রেতাদের মধ্যে কিস্তি সুবিধায় এ ধরনের গাড়ি কেনার আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকে ধীরে ধীরে সুদহার বাড়ছে। এ অবস্থায় আমরা বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এ খাতে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছি।
হাফিজুর রহমান খান, চেয়ারম্যান, রানার অটোমোবাইলস

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি সুবিধায় ক্রেতাদের কাছে থ্রি–হুইলার গাড়ি বিক্রি করছে। এতে ব্যাংকের ওপর যেমন চাপ বাড়ছে, তেমনি কোম্পানির খরচও বাড়ছে। এ কারণে বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্ড ইস্যুর মূল আয়োজক বা অ্যারেঞ্জার হিসেবে রয়েছে গ্রিন ডেলটা ক্যাপিটাল। ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড বিক্রি করা হবে।

জানতে চাইলে রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘এত দিন আমরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি সুবিধায় ক্রেতাদের কাছে থ্রি–হুইলার বিক্রি করতাম। ক্রেতাদের মধ্যে কিস্তি সুবিধায় এ ধরনের গাড়ি কেনার আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকে ধীরে ধীরে সুদহার বাড়ছে। এ অবস্থায় আমরা বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এ খাতে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে সুদহার বৃদ্ধির সমস্যায় পড়তে হবে না আমাদের।’

হাফিজুর রহমান খান আরও বলেন, ‘বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে একটি সোলার প্ল্যাটও করা হবে। সেটি হলে বিদ্যুৎ–সংকটের কারণে কারখানা বন্ধের ঘটনাও ঘটবে না।’

বর্তমানে রানার অটোমোবাইলস এলপিজি ও সিএনজিচালিত থ্রি–হুইলার প্রস্তুত ও বাজারজাত করছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ–চালিত থ্রি–হুইলার তৈরির ব্যবস্থাও রয়েছে তাদের কারখানায়। তবে সরকারি অনুমোদন না থাকায় এখনো বিদ্যুৎ–চালিত থ্রি–হুইলার তৈরি করছে না প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে নতুন খাতে বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হলেও তাতে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ৪৮ টাকা ৪০ পয়সায় সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.