বিশ্বায়নের যুগে মেধাপাচার রোধ দুরূহ: প্রধানমন্ত্রী

0
146
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে মেধাপাচার রোধ করা দুরূহ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত/উন্নয়নশীল সব দেশ থেকেই মেধাপাচার হয়ে থাকে। তথাপি সরকারের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও নানাবিধ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের মেধাপাচার নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রয়েছে।

বুধবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরপর্বে সিলেট-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেটের কারণে মেধাবীরা এখন দেশেই কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, সকল সেক্টরে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে বাংলাদেশের মেধঁচপাচার অনেকটাই রোধ হচ্ছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে মেধাবীদের মূল্যায়নে সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসার দাদি রাখে।

সরকারপ্রধান বলেন, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, মেধাবীদের বৃত্তি/উপবৃত্তি প্রদান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধার প্রাধান্য, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি, রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশিষ্ট ও মেধাবীদের বিভিন্ন পদক-পুরষ্কার ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার কর্তৃক মেধাবীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের দ্রুত বিকশিত ও আধুনিকায়নভিত্তিক উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে মেধাপাচার রোধ করা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মেধাবী, দক্ষ ও উদ্ভাবনী প্রতিভা সাধারণত কাঙ্খিত সুযোগ-সুবিধা, অবকাঠামোগত পরিবেশের অভাবে ভিনদেশে স্থানান্তির হয়। ফলে দেশের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান, পরিবেশ, বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা, লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ ও নাগিরকত্বসহ স্থায়ী বসবাসের সুযোগ মেধাপাচারের অন্যতম কারণ। সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মেধাপাচার রোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা করে বঙ্গোপসাগরে ৪৭৩ প্রজাতির মাছ শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ১১টি নতুন প্রজাতি। ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশ সাগর উপকূলে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্রজাতির সী-উইড শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে ২৭টি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গবেষণার মাধ্যমে ৬ প্রজাতির সী-উইডের চাষপদ্ধতিও উদ্ভাবন করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.