গ্রুপ পর্বে এ পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের পর সুইসদেরও হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কাল রাতে ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার আগে বেশ গর্বের এক কীর্তিও ছিল সুইজারল্যান্ডের। বিশ্বকাপে যে ২৭টি দল এ পর্যন্ত একাধিকবার ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি দলকে লাতিন আমেরিকার পরাশক্তিরা কখনো হারাতে পারেনি। পর্তুগাল, হাঙ্গেরি ও সুইজারল্যান্ড। দোহায় কাল শেষ বাঁশি বাজার পর এই তালিকা থেকে কাটা পড়ল সুইজারল্যান্ডের নাম।
অবশ্য নাম কাটা পড়ার মতোই খেলেছে সুইসরা। জিততে কিংবা ড্র করতে হলে তো গোল করতে হতো। কিন্তু ব্রাজিলের গোলপোস্টে একটি শটও নিতে পারেনি সুইজারল্যান্ড। শুধু সুইসরা কেন, সার্বিয়াও আগের ম্যাচে ব্রাজিলের গোলপোস্ট তাক করে একটি শটও নিতে পারেনি। ব্রাজিলের বিপক্ষে ৫টি শট নিয়েছিল সার্বিয়া। ৩টি পোস্টের বাইরে দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, ২টি শট ডিফেন্ডাররা রুখে দেন। সুইজারল্যান্ড ৬টি শট নিয়ে একটিও পোস্টে রাখতে পারেনি।
ডিফেন্ডারদের এই জমাট রক্ষণ এবং প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে বিশ্বকাপে দারুণ এক কীর্তিতেও নাম লিখিয়ে ফেলেছে ব্রাজিল। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ থেকে হিসাব করলে ইতিহাসের দ্বিতীয় দল হিসেবে কোনো আসরের প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের পোস্টে প্রতিপক্ষকে কোনো শট নিতে দেয়নি ব্রাজিল। প্রথম দল হিসেবে এই কীর্তি গড়েছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে।
১৯৬৬-এর পর থেকে বিশ্বকাপে কখনো প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়েনি ব্রাজিল। কাল রাতের জয়ে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ইতিহাসে একটি রেকর্ডও গড়েছে তিতের দল। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে এ নিয়ে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত রইল ব্রাজিল। এই পথে তাঁরা ভেঙেছে ১৯৯০ থেকে ২০১০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বে জার্মানির গড়া টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের সর্বশেষ হার ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নরওয়ের বিপক্ষে। ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে হিসাব করলে গ্রুপ পর্বে এ পর্যন্ত খেলা ৩৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে ব্রাজিল—সেটি ২৪ বছর আগে নরওয়ের বিপক্ষে ম্যাচেই।