অনেকটা নীরবেই শুরু হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা হয়েছে দুর্দান্ত। বিশ্বমঞ্চে অভিষেকে আইসিসির দুই সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বেশ দাপটই দেখিয়েছে। কানাডার ছুঁড়ে দেওয়ার ১৯৫ রানের লক্ষ্য ১৪ বল হাতে রেখেই পেরিয়েছে বিশ্বকাপের আয়োজকরা।
৭ উইকেটের বড় জয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও গড়েছে তারা। সবমিলিয়ে দেখে নেওয়া যাক রেকর্ডগুলো…
অভিষেকে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ : প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমে সর্বোচ্চ ১৯৪ রান তুলেছে কানাডা। এর আগে, ২০১৪ আসরে ১৯৩ রান তুলেছিল নেদারল্যান্ডস। ডাচদের সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় কানাডা। এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কানাডিয়ানদের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, রান তাড়ায় নেমে ১৯৭ তুলেছে তারা; যা বিশ্বমঞ্চে অভিষেকে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড : এই ম্যাচে রান তাড়ায় ইতিহাস গড়েছে স্বাগতিক দল। এর আগে, সর্বোচ্চ ১৬৯ রান তাড়া করে জিতেছিল। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এবার ১৭ দশমিক ৪ ওভারেই কানাডার ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে তারা।
এদিকে রান তাড়ার রেকর্ডে সব মিলিয়ে তৃতীয় স্থানে এটি। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৩০ রান তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ২০১৬ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়ে ইংলিশরা। এর আগে, ২০০৭ বিশ্বকাপে ২০৬ রান তাড়া করে জিতেছিল প্রোটিয়ারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় জুটি : তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩১ রান তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহ–অধিনায়ক অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রিয়েস গুস। তবে বিশ্বমঞ্চে এর আগে আরেকবার তৃতীয় উইকেট জুটিতে এর চেয়ে বেশি রান এসেছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের ইয়ন মরগান ও অ্যালেক্স হেলস। তবে ২০ ওভারের ফরম্যাটে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় রানের জুটি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ছক্কা : অপরাজিত ৯৪ রানের পথে ১০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন জোন্স। এই তালিকায় তার সামনে আছেন শুধুই ক্রিস গেইল। ২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্যারিবিয়ান এই ‘ইউনিভার্স বস’।
এক ওভারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান : বিশ্বকাপে এর আগে এক ওভারে সর্বোচ্চ ৩৬ রান দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ড ব্রড। ২০০৭ বিশ্বকাপে তার ওভারে ৬ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। এবার এক ওভারে ৩৩ রান খরচ করেছেন কানাডার জেরেমি গর্ডন।
দ্রুততম ফিফটি : দলের জয়ের দিনে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জোন্স। মাত্র ২২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ৯৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। যা এই ফরম্যাটে কোনো আমেরিকান ব্যাটারের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি।