ঢাকা ক্যাপিটালসের জন্য ম্যাচটি ছিল শোকের। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন ঢাকার সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এমন আবহের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিতেছে ঢাকা। সাব্বির রহমানের ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে তারা রাজশাহীকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে, ৭ বল হাতে রেখে।
১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকা শুরুতেই সাইফ হাসানকে হারায়। ১ রান করে তানজিম হাসানের বলে বোল্ড হন সাইফ। তিনে নামা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও ওপেনার উসমান খান এরপর ৩৭ রানের জুটি গড়েন। বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে ফেরার আগে উসমান করেছেন ১৮ রান। ৩৯ বলে ৪৫ রান করা মামুনকেও ফিরিয়েছেন নেওয়াজ।

লক্ষ্যটা কম হওয়ায় ঢাকার রানের চাপ কখনোই তেমন ছিল না। তবে মিডল অর্ডারে নাসির হোসেনের ২২ বলে ১৯ রানের ইনিংসে সমীকরণটা একটু কঠিন বানিয়ে ফেলে ঢাকা। নাসিরের আউটে সাব্বির রহমান যখন উইকেটে আসেন তখন তাদের প্রয়োজন ২৫ বলে ৩৫ রান। তবে নেপালি স্পিনার সন্দীপ লামিচানের করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে ১৫ রান নিয়ে ম্যাচ সহজ করে ফেলেন শামীম হোসেন ও সাব্বির। এই দুজনে ১৮ বলে ৩৬ রানের জুটিতে খুব সহজেই জেতে ঢাকা।
ঢাকা মূলত আসল কাজটা বল হাতেই করে ফেলেছে। টসে জিতে বোলিং নিয়ে শুরু থেকেই রাজশাহীকে চাপে ফেলে ঢাকা। পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম ইনিংসের প্রথম বলেই আউট করেন আরেক পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে। ঢাকাকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া ইমাদ মিডল ওভারে আউট করেন নাজমুল হোসেন ও ইয়াসির আলীকে। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল আজও ভালো শুরু পেয়েছিলেন। করেছেন ২৮ বলে ৩৭। মুশফিকুর রহিম করেছেন ২৪ রান। পাকিস্তান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নেওয়াজ বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার আগে অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী: ২০ ওভারে ১৩২/৮ (নাজমুল ৩৭, নেওয়াজ ২৬*, মুশফিক ২৪; ইমাদ ৩/১৬, নাসির ২/৩২)।
ঢাকা: ১৮.৫ ওভারে ১৩৪/৫ (মামুন ৪৫, সাব্বির ২১*; নেওয়াজ ৩/২১)।
ফল: ঢাকা ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমাদ ওয়াসিম।


















