ভারতের বিশ্বকাপে ভুলে যাওয়ার মতো ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আঙুলের ইনজুরিতে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা খেলেননি। ওই ইনজুরি ও নির্বাচনের কারণে খেলেননি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে।
পরে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হয়ে চোখে সমস্যা ধরা পড়েছে সাকিবের। বিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরলেও সাকিব ওই চোখের সমস্যার কারণে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। বিপিএলের প্রথম ম্যাচে তিনে ব্যাট করে মাত্র ২ রান করেন তিনি।
পরের দুই ম্যাচ না খেললেও সিলেটে দুই ম্যাচে খেললেও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব কেবল বোলার হিসেবে খেলেছেন। ঢাকার বিপক্ষে দলের নয় ব্যাটার আউট হলেও তিনি ব্যাটিংয়ে নামেননি। এরপর কুমিল্লার বিপক্ষে পাঁচ ব্যাটার আউট হলেও ক্রিজে আসেননি তিনি। শুধু বোলার হিসেবেই যেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন এই তারকা।
বিপরীত অবস্থা আবার মাশরাফি মর্তুজার। তিনি পুরো ক্যারিয়ার খেলেছেন পেসার হিসেবে। টুকটাক ব্যাটিং করতে পারলেও পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয়নি তার। ওই চেষ্টায় সম্ভবত করেননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ানডে সেরা অধিনায়ক মাশরাফি।
তবে ফিটনেস জটিলতা, বলের পেস কমে যাওয়ার সঙ্গে লাইনটাও আগের মতো না থাকায় এবারের বিপিএলে মাশরাফি যেন কেবল ব্যাটার হিসেবে খেলছেন। ওই ব্যাটিংটাও তিনি ঠিক মতো পারছেন না। মাশরাফি ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২.৩ ওভার বোলিং করে ২৫ রান দেন। উইকেট পাননি। পরের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে বোলিংয়ে আসেননি তিনি। তবে ব্যাটিং করেন তিনে। রান করেন মাত্র ২।
কুমিল্লার বিপক্ষে অবশ্য বল হাতে ছন্দ পাওয়ার আশা দিয়েছিলেন। ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ১৯ রান। উইকেটশূন্য ছিলেন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৯ জানুয়ারির ম্যাচে ১ ওভার বোলিং করে ১৪ রান দেন তিনি। ব্যাটিংও করেননি। সর্বশেষ মঙ্গলবার বরিশালের বিপক্ষে বল করার সাহস করেননি সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক। চারে ব্যাটিং করেও ব্যর্থ হন। তার দলও হেরেছে টানা পাঁচ ম্যাচে।