রুশ আইনজীবী ত্রুনভ টুইটারে এক ঘোষণায় বলেছেন, তাঁর ইউনিয়ন বেশ কয়েকজন দম্পতির পক্ষ থেকে আবেদন জানিয়েছিল। এই দম্পতির স্বামীদের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশেষ সেনা অভিযানে বাধ্যতামূলকভাবে অংশ নিতে বলা হয়েছিল।
ক্রুনভের মন্তব্যের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে আইনজীবী ত্রুনভ বিবিসিকে বলেছেন, তাঁর ইউনিয়ন কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো, তা জানতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
আইনজীবী ত্রুনভ তাসকে বলেন, রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের শুক্রাণু হিমায়িত রাখতে রাষ্ট্রীয় বাজেট থেকে আর্থিক সহায়তা দিতে একমত হয়েছে মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। সেখানে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন আছে। যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে দখল করা অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে পুতিন আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন। রাশিয়ার নাগরিকদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলা হয়। রাশিয়ার আড়াই লাখেরও বেশি পুরুষ এই প্রক্রিয়া এড়াতে দেশ ছেড়ে চলে যান।
এ ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে ফনতাঙ্কা ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়, শুক্রাণু হিমায়িত রাখতে পুরুষদের আইভিএফ ও প্রজননবিষয়ক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার হার বাড়ছে। হিমায়িত শুক্রাণু যাতে স্ত্রী ব্যবহার করতে পারেন, সেই নথিও তৈরি করে রাখছেন পুরুষেরা।
মেরিনস্কি হাসপাতালের আন্দ্রেই ইভানভ বলেছেন, পুরুষেরা এ–সংক্রান্ত নথি বেশি তৈরি করছেন। যাঁরা রাশিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁরাও এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
ফনতাঙ্কার খবর বলছে, অসুস্থ না হলে রাশিয়ার পুরুষ ও নারীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান না। তাঁরা এর আগে জৈবিক অংশ হিমায়িত রাখেননি।
যদি যুদ্ধে কোনো পুরুষ নিহত হন বা প্রজনন সক্ষমতা হারান, তাহলে হিমায়িত শুক্রাণুর মাধ্যমে সন্তান নিতে পারবেন, এমন ভাবনা থেকেই পুরুষেরা এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে প্রজননকেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের যাওয়ার হার কিছুটা কমেছে।