আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নির্বাচন ভণ্ডুল করার অনেক অপচেষ্টা হচ্ছে। ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা হচ্ছে। যারা এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা ‘ছাগলের’ তিন নম্বর বাচ্চা।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্রে যারা বাতাস দিচ্ছেন, সেই বাতাসে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু সাহেব লাফান। সঙ্গে শ্যামা ওবায়েদ ও নিপুণ রায়রাও লাফান। এই লাফালাফি করে লাভ হবে না। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা যেমন দুধ পায় না শুধু লাফায়, তারাও তেমনি শুধু লাফাতেই থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতার আসনে বসবেন। বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভেবেছিল সরকার টিকবে না! কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে চার বছর পূর্ণ করে তিন মাসের মাথায় পাঁচ বছর পূর্ণ করবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। বিএনপি আগামী মাসে ফাইনাল খেলার ডাক দিয়েছে। আওয়ামী লীগ খেলতে চায়। ফাইনাল খেলার কথা বাদ দিলাম। খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর জন্য বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। সেমিফাইনালে বিএনপি পরাজিত হয়ে গেছে। সেমিফাইনালের পর ফাইনাল খেলতে পারবে কি না, সেই শঙ্কা আছে। বিএনপি আসুক বা না আসুক, দেশে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে ধরণা দিয়ে লাভ হবে না। বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না। বিএনপি ভেবেছে বিদেশিরা তাদের কোলে করে ও দোলনায় বসিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এটা জনগণ ও আওয়ামী লীগ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, শনিবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগ মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অনুরোধ করব কালকের সমাবেশ লক্ষ্য করার জন্য। আসেন এবং দেখেন, চাইলে মির্জা ফখরুলকেও বক্তৃতার সুযোগ দেওয়া হবে।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীসহ কৃষক লীগের নেতারা। পরে কেক কেটে শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়।