বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল দশম শ্রেণির নাঈমা, সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু

0
53
স্কুলছাত্রী নাঈমা

কোটা আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্কুলছাত্রী নাঈমা। এর মাঝে ৮ দিন পেরিয়ে গেছে, তারপরও স্বজনদের আহাজারি থামেনি। কারও হাতে রক্তাক্ত কাপড়, আবার কারও হাতে পড়ার বই। এসব দেখে থেমে থেমে কান্না করছেন নাঈমার স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না নাঈমার বাবা-মা। চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু দেখে বারবার অচেতন হয়ে পড়ছেন মা আইনুন নাহার। একটু স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলেই আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। চাঁদপুরের মতলব উত্তরের আমুয়াখান্দা উত্তরপাড়ায় নাঈমার গ্রামের বাড়ি। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

নাঈমার মা আইনুন নাহার বলেন, বাসার সামনের সড়কে ঝামেলা হচ্ছিল। তা দেখতে আমরা চারতলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার মেয়ের মাথায় গুলি লাগে। মেয়ে সেখানেই রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে, আমাদের মেয়ে মারা যায়।

এদিকে নাঈমার বাবা চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা দেওয়ান বলেন, সন্তানদের মানুষ করতে গ্রাম থেকে ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মেয়ে লাশ হয়ে ফিরে এলো। এর দায় কার? আমার মেয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চোখের পলকে আমাদের মেয়ে হারিয়ে গেল।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সন্তানের মরদেহ কাঁধে নেব, তা কখনও ভাবিনি। কিন্তু কেন আমার সন্তান গুলিতে মারা গেল। তার কী কোনো বিচার পাব?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.