বাজেট সংস্কার প্রস্তাব পাসে আর্জেন্টিনায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

0
74
আর্জেন্টিনায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
সংসদে বাজেট সংস্কারের প্রস্তাব পাসকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়। মূলত, সংস্কার বাজেটে সরকারি পেনশন ও শ্রম অধিকারসহ নাগরিক বিভিন্ন সুবিধা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। বিক্ষোভকালে রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে পুলিশের সঙ্গে বড় ধরনের সংঘর্ষেও জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।
 
বুধবার (১২ জুন) রাতে রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। সংস্কারের অনুমোদন ঠেকাতে পেট্রোল বোমা ও পাথর নিক্ষেপ করেন তারা। এ ছাড়া দুটি গাড়িতে আগুনও দেন। ওই সময় তাদের সরিয়ে দিতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর বিবিসির।
 
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই সংস্কারের কারণে আর্জেন্টিনার লাখ লাখ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
 
আর্জেন্টিনার ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই এই সংস্কারের প্রস্তাব করেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে চাচ্ছেন। এই সংস্কারের মাধ্যমে আর্জেন্টিনায় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হবে এবং সরকারি পেনসন ও শ্রম অধিকার কমিয়ে দেওয়া হবে।
 
প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের এই সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে দেশটির বিরোধীদল, শ্রম সংগঠন এবং সামাজিক সংস্থাগুলো।
 
আর্জেন্টিনার সিনেটে সংস্কার প্রস্তাবটি ৩৬-৩৬ ভোটে আটকে ছিল। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়ারুয়েল তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি অনুমোদন করান।
 
ভোট দেওয়ার আগে তিনি বলেন, যেসব আর্জেন্টাইন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যারা অপেক্ষা করছেন এবং যারা চান না তাদের সন্তানরা দেশ ছেড়ে চলে যাক, তাদের জন্য আমার ভোট হলো- হ্যাঁ।
 
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। এরপর প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে যাবে এবং সেখানে আইনে পরিণত হবে। ৩২৮ ধারার এই সংস্কার প্রস্তাবটি এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
 
গত এপ্রিলে প্রথমে প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে পাস হয়। তবে এর আগে এটিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়। গত বছর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই অবশ্য জাভিয়ের মিলেই বলেছিলেন সরকারি ব্যয় সংকোচন করবেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.