১৯৮৭ সালে শেষবারের মতো কলকাতার বিখ্যাত যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়ামে খেলেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ কলকাতার মাটিতে মাঠে নামা আরও দুই বছর আগে—১৯৮৫ সালে। ৩৪ বছর পর কলকাতার ময়দানে বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচ—হালে দুই দলের যত পার্থক্যই থাকুক, সাধারণ দর্শকদের তাতানোর জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। সবাই রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় আগামী ১৫ অক্টোবর বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি নিয়ে। এই ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত ভারতীয় ফুটবলার প্রীতম কোটাল। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপাড়ায় জন্ম নেওয়া এই বাঙালি ফুটবলার এই প্রথমবারের মতো ভারতের জার্সিতে খেলতে নামবেন কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতের জন্য মোটেও সহজ হবে না।
এক সময়ের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচ সব সময়ই অন্যরকম উত্তাপ ছড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে ভারত ফুটবলে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি তো আছেই, আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স রীতিমতো অনুকরণীয়। এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত সেটিরই ছাপ রেখেছে। প্রথম ম্যাচে গুয়াহাটিতে ওমানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারলেও একটা সময় পর্যন্ত তারাই ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে দোহায় এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন কাতারকে গোলশূন্য স্কোরলাইনে রুখে দিয়ে ভারত নিজেদের উন্নতির জানান দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ফুটবলে ক্রমশ পিছিয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানের দুশানবেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে ১-০ গোলে। কলকাতার ম্যাচের আগে ১০ অক্টোবর ঢাকায় কাতারের বিপক্ষে হোম ম্যাচে মাঠে নামবে জেমি ডে’র দল। তবে দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রে আছে ১৫ অক্টোবরের ম্যাচটি। কলকাতার ম্যাচ বলেই প্রীতম উচ্ছ্বসিত এটিকে ঘিরে, ‘যুবভারতীতে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে গলা মেলাচ্ছি এত দিন এটি ছিল আমার স্বপ্ন। এবার সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।’
বাংলাদেশ ম্যাচকে কেন কঠিন মনে করেন সে ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন প্রীতম, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি কঠিন। যুব ভারতীতে নিশ্চয়ই প্রচুর বাংলাদেশি খেলা দেখতে আসবেন। তাদের সমর্থনটাও নিশ্চয়ই কম থাকবে না।’
অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার হয়ে ভারতের ঘরোয়া ফুটবল খেলা প্রীতম ২০১১ সালে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পান। সেখান থেকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল হয়ে খেলে এখন জাতীয় দলে এই রাইট ব্যাক। দেশের জার্সিতে এখনো পর্যন্ত ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন বাংলার এই ফুটবলার।