বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ ৮ জেলা বন্যা কবলিত। পানিবন্দী প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বন্যার্তদের প্রতি জানিয়েছে সমবেদনা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ভারত বাঁধ ছেড়ে দেওয়ার কারণে জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোরালো আপত্তি জানিয়েছে এসব খবরের।
ভারত বলছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সীমান্ত লাগোয়া দুই দেশের নদী সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেরও বড় অংশ পানির নিচে। এসব এলাকার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতেও বেগ পেতে হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে নেমে আসা গোমতী নদী দুই দেশের মধ্যেই প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর নিম্ন অববাহিকায় অবস্থিত বাংলাদেশ। ওই নদীর ওপর যে বাঁধ রয়েছে সেটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ওই ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে তিন জায়গায় দুই দেশের যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আছে। যা থেকে নদীর পানিস্তরের দিকে নজর রাখা যায়। বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত এই সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে থাকে। সেই তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, গোমতী নদীর অববাহিকায় গত দুই দিন ধরে যে বৃষ্টি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ফলে ভারতের ত্রিপুরার বড় অংশও প্লাবিত।
ভারত সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাঁধটি থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশও বহু বছর ধরে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবিধাভোগী। বাংলাদেশ এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে যাতে দুই দেশের সম্পর্ক অবনতি না ঘটে সেদিকেও নজর রাখছে দিল্লি।