বাংলাদেশের নির্বাচন, ভারতের ভূমিকা নিয়ে হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন

0
254
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী (কৌশলগত যোগাযোগ) জন কিরবি, ফাইল ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষার কথা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী (কৌশলগত যোগাযোগ) জন কিরবি। গতকাল মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াশিংটন ফরেন প্রেস সেন্টারে এই ব্রিফিং হয়। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে কি না, সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে।

ব্রিফিংয়ে জন কিরবির কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল উপকরণ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি আলোচনা হবে কি না?

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্নকারী বলেন, দেশটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার পাশে থাকবে কি না? কেননা, বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে। ওই দুই নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা (প্রশ্নকারী) ভারতীয় প্রভাব লক্ষ করছেন।

জবাবে জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বের যেখানেই যান না কেন, যে নেতার সঙ্গেই কথা বলেন না কেন, তিনি সাধারণত মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন। এই প্রশাসনের (বাইডেন) পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক উপকরণ মানবাধিকার। প্রশ্নকারী অবশ্যই আশা করতে পারেন, ভারতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলাপেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়টি তুলবেন, যেমনটা তিনি সব সময় করেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জন কিরবি বলেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে ভারত সরকারকেই কথা বলতে দেওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার আকাঙ্ক্ষার কথা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করেছে। যারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি শুধু নিজেদের অবস্থানের কথা বলতে পারেন। আর তাঁরা এই অবস্থান সম্পর্কে প্রকাশ্যেই বলেছেন। তবে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সে দেশের সরকারকেই কথা বলতে দেওয়া উচিত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। কাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে মোদির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.