বরিশাল নৌবন্দর বাস টার্মিনালে যাত্রীর ঢল

0
563
বরিশাল নৌবন্দর।

বিকেল হলেই যাত্রীর ঢল নামে বরিশাল নৌবন্দরে। দিনের আলো ফুটতেই নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা যায় ব্যাপক ভিড়। ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষের পদচারণায় বৃহস্পতিবার থেকে বরিশালের নৌবন্দর ও বাস টার্মিনাল এভাবেই মুখর থাকছে। যাত্রীতে টইটম্বুর হয়ে বৃহৎ লঞ্চগুলো একের পর এক ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ছেড়ে যাচ্ছে। বাসও ছাড়ছে প্রায় বিরামহীনভাবে। শনিবারও ছিল যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়।

ঈদের পরে নতুন সপ্তাহে প্রথম কর্মদিবস শুরু হবে আজ রোববার। ঈদ, জাতীয় শোক দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ এবার টানা ৯ দিন ছুটি উপভোগ করেছেন অনেক কর্মজীবী। তবে যাদের ছুটি কম, তারা গত বৃহস্পতিবার থেকেই কর্মস্থলমুখী হয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ১০টি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকায় গেছে। শুক্রবার যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়েছে ১৭টি লঞ্চ। গতকাল শনিবার ২১টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় গেছে। প্রতিটি লঞ্চে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। প্রথম শ্রেণির কেবিন যাত্রীদের চলার পথও দখল করে নেন সাধারণ যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, শুক্র ও শনিবার যাত্রী পূর্ণ হলেই লঞ্চগুলোকে পন্টুন ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, যতক্ষণ লঞ্চে একজন যাত্রীর পা ফেলার জায়গা ছিল, ততক্ষণই লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে যাত্রী তোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ-তিনগুণ যাত্রীসহ লঞ্চগুলো ঝুঁকি নিয়ে খরস্রোতা নদী পাড়ি দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে বরিশাল-মাওয়া রুটের বাস কাউন্টারে। টিকিটের জন্য বিশাল লম্বা লাইন পড়েছে কাউন্টারের সামনে। একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী বিআরটিসি বাস ডিপোতে। সেখানেও মাওয়া রুটের কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। কাদাপানির মধ্যে একাকার হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয় যাত্রীদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.