‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ স্লোগানে আজ শনিবার বরিশালে বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আজ বেলা তিনটায় এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পূর্বনির্ধারিত এই সমাবেশ উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থল আসছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
আজ বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। মাঠের আশপাশে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের পক্ষে অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। সেগুলো দলের নেতারা খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়ার পর এসব ব্যানার-ফেস্টুন নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। আগত নেতা-কর্মীরা মাঠের চারপাশে অবস্থান করছেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের এই তারুণ্য সমাবেশ স্থলের আধা কিলোমিটার দূরে নগর ভবন সামনে আজ বিকেলে শান্তি সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে দিয়েছে যুবলীগ।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন সমাবেশে বিষয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সারা দেশে বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য এ সমাবেশে হবে জনসমুদ্র। তিনটি তরুণ সংগঠনের উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে দেশের ছয় বিভাগীয় শহরে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁরা মাঠে নেমেছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশকে বসবাসের উপযোগী ও সবাই যাতে সমান অধিকার নিয়ে থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে এই সমাবেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তরুণ সমাজকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ করতেই এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
তারুণ্যের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সুলতান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, হিজলায় হামলা হয়েছে। যাঁরা হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ন্যায়সংগত দাবিতে মাঠে নামলে খুন-গুম করা হচ্ছে। সব মানুষ এই সরকারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এর থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দিতে তারুণ্যের এই সমাবেশের আয়োজনে করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ স্লোগান হবে সমাবেশের মূল প্রতিপাদ্য। সমাবেশের প্রচারপত্রেও এ স্লোগান থাকবে। তবে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দলীয় সরকারের অধীন সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি সামনে আনবে আয়োজক তিন সংগঠন।