সারা বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২০ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের এই জনগোষ্ঠী ছাড়াও কুমিল্লা থেকে ২৬ লাখ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মীদের এক দিনের বেতন ২ লাখ টাকাসহ মোট অর্ধকোটি টাকার মতো অনুদানের অর্থ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে বঙ্গবাজার এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে এসব অর্থ বুঝে নেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে আগামীতে নগদ অর্থের পরিবর্তে ব্যাংকের মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বকুল হাজি ও দিপালী হিজড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কাছে অনুদানের নগদ ২০ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন। তবে এর বাইরে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একজন হিজড়া নেতা আলাদাভাবে আরও দুই লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে এই টাকা দোকান মালিক সমিতির কাছে জমা হয়নি বলে জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন অবশ্য নগদ অর্থ দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করে বলেন, ‘আমরা সবাইকে বলব, যাঁরা সহযোগিতা করবেন, নগদ টাকা না দিয়ে ব্যাংকে টাকা দিন। তাতে বিষয়টি সবার জন্য সহজ হবে, স্বচ্ছতা থাকবে। আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ প্রশ্ন না তুলুক এবং অনুদানের পুরো অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কল্যাণে ব্যয় হোক।’
কুমিল্লা থেকে ২৬ লাখ টাকার যে অনুদান এসেছে, তার মধ্যে স্থানীয় সাংসদ আ ক ম বাহার উদ্দিন নিজ তহবিল থেকে ১০ লাখ, কুমিল্লা জেলা দোকান মালিক সমিতি ১০ লাখ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে ৫ লাখ ও সিটি করপোরেশন মেয়র ইরফানুল হক রিফাত নিজ তহবিল থেকে ১ লাখ টাকা অনুদানের চেক বঙ্গবাজার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তহবিলে জমা দেন।
আ ক ম বাহার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সামান্য সহযোগিতার মাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আপামর জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ, সামর্থ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করুন।’
এদিন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংস্থাটির কর্মীদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ ২ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও ১ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। সব মিলিয়ে রোববার দুপুর পর্যন্ত দোকান মালিক সমিতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৯ লাখ টাকা এসেছে।