
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে রক্ষা করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বস্তরের মানুষকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের বিকল্প নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্তসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
সভার শুরুতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যায়। দুর্নীতিবাজদের ন্যূনতম প্রশ্রয় না দেওয়া ও সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালনই আজকের (১৫ আগস্ট) এই শোকের দিনে শপথ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা না রাখি, তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে।’
ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার। যাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। যাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি তাদেরকে এই মহৎ কাজটি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পেছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকাতে হবে। দুদক কর্মকর্তাদেরকে সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ দুদকই পারে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। মানুষ এটা বিশ্বাস করে।
দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার খুনিরা যেভাবে অপঘাতে ঘৃণিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তেমনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও একই পরিণতি হয়েছে। যারা এখনও জীবিত, তারা দুর্বিষহ জীবন-যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দুদক মহাপিরচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, উপপরিচালক সেলিনা আক্তার, সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলা প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।