বগুড়ায় বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা এক নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বগুড়ার দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন অটোরিকশা চালক বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কদমতলী গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে হযরত আলী (৩৫), যাত্রী ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী সর্দারপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়া (৬৫) ও গাবতলীর কালাইহাটা গ্রামের সাহানা আকতার (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বগুড়া শহর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চারজন যাত্রী নিয়ে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কে সুজাবাদ এলাকায় মহাসড়ক থেকে বাগবাড়ী সড়কে অটোরিকশাটি পার হওয়ার সময় গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারীসহ তিনজন নিহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিকশা চালক হযরত আলী মারা যান।
এ দুর্ঘটনায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আট বছর বয়সী এক মেয়েশিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও চালকের সহকারী পালিয়ে যায় এবং যাত্রীরা যে যার মত বাস থেকে নেমে যান। এ সময় স্থানীয় জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে তিনজনের মরদেহ আছে। অটোরিকশা চালক হযরত আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। সেখান থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’