এবারের বিশ্বকাপে এমবাপ্পের যে পারফরম্যান্স, তাতে আর্জেন্টিনা–সমর্থকেরা চিন্তিত হতেই পারেন। বিশেষ করে গোটা সময় বোতলবন্দী থাকার পরও এমবাপ্পের যেকোনো ফাকফোঁকর বের করে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দেওয়ার যে প্রবণতা, সেটিই চিন্তার মূল কারণ। ফাইনাল জিততে হলে আর্জেন্টিনাকে যেকোনো মূল্যে এমবাপ্পেকে ঠেকাতে হবে। কোচ লিওনেল স্কালোনির মূল চিন্তা যে এমবাপ্পে, সেটি না বললেও চলছে।
তবে আগের ম্যাচগুলোতে ইংল্যান্ড কিংবা মরক্কো যেভাবে এমবাপ্পেকে সামলেছে, স্কালোনি সমাধান খুঁজে নিতে পারেন। আর্জেন্টিনার রক্ষণে থাকবেন নিকোলাস ওতামেন্দি ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। এমবাপ্পেকে সামলানোর দায়িত্ব থাকবে হয়তো লিসান্দ্রো মার্তিনেজের কাঁধে। তাঁকে নিচে নামিয়ে রক্ষণকে জমাট করতে পারেন স্কালোনি। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার গিদো রদ্রিগেজকে এ ম্যাচে খেলানো হতে পারে। তিনি মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে খেলেছিলেন। খুব যে ভালো খেলেছিলেন তা নয়, তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে তিনি কাজে লাগতে পারেন। তবে স্কালোনি নিশ্চয়ই বিশেষ পরিকল্পনা আঁটছেন। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সেই পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজে লাগবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
তবে আর্জেন্টিনার বড় ভরসা অবশ্যই মেসি। তিনি যে ম্যাচের পরিস্থিতি খুব ভালো পড়তে পারেন, সেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারজুড়েই প্রমাণ করে দিয়েছেন। মেসি যেকোনো কিছুই করতে পারেন। আর্জেন্টিনার জন্য এটা একটা শক্তির দিক। তারা নিজেরা যেমন এমবাপ্পেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, ঠিক তেমনি ফ্রান্সকেও ব্যস্ত থাকতে হবে মেসিকে নিয়ে। এমবাপ্পে যেমন যেকোনো সুযোগে যেকোনো কাণ্ড ঘটিয়ে দিতে পারেন, মেসিও তা–ই। মেসি অনেক বেশি অভিজ্ঞও।