জুনে ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি, আশা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর

0
119
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাতীয় সংসদে

আগামী জুন মাসে ভারত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য ভারত অংশে পাঁচ কিলোমিটারসহ প্রায় ১৩১ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী জুন মাসে ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বর্তমানে (জুন ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুদ (২চ) ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ। গ্যাসক্ষেত্রগুলো হতে দৈনিক গড়ে প্রায় ২২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুদকৃত গ্যাস দ্বারা প্রায় ১১ বছর বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

উৎপাদন না বাড়লে আবাসিকে গ্যাস নয়: মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ক্রমান্নয়ে কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে শিল্প, বিদ্যুত ও সার কারখানাকে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ায় অর্থনৈতিক গতিশীলতার স্বার্থে একান্ত অপরিহার্য বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে গৃহস্থালি তথা আবাসিক শ্রেণিতে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন থকে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির সহজলভ্যতা এবং ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহস্থালী পর্যায়ে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান পরিপত্রের মাধ্যমে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে এবং শিল্প, বিদ্যুত ও সার কারখানায় গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা হ্রাস না পেলে আবাসিক গ্যাস সংযোগ উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.