শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি গতকাল বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে। মারা গেছেন তিনজন। এখন কম্বোডিয়া ও লাওসের দিকে আগ্রসর হচ্ছে এটি। এর আগে কালমায়েগি ফিলিপাইনে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। এতে অন্তত ১১৪ জন মারা যান। প্লাবিত হয় বহু শহর।
ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯২ মাইল (১৪৯ কিলোমিটার) বেগে ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম ও সরকারি অনলাইন পোর্টালের তথ্যমতে, প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার সেনাসদস্যকে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, দেশজুড়ে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। শতাধিক ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। তাতে দেখা দিয়েছে বন্যা।
ভিয়েতনামের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির স্থলভাগে প্রবেশ করে দাক লাক ও গিয়া লাই প্রদেশে আঘাত হেনেছে।
গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে কালমায়েগি ভিয়েতনামের স্থলভাগে আঘাত হানে। জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে, সাতটি শহর ও বিভিন্ন প্রদেশের শতাধিক অঞ্চল আগামী কয়েক ঘণ্টায় ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য অনুযায়ী, অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। ঝোড়ো বাতাসে বহু গাছপালা উপড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে গত বুধবার সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন জরুরি অনলাইন বৈঠকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে, কেউ যাতে খাদ্য, পানি বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছাড়া না থাকেন। কেউ যেন ক্ষুধার্ত বা অসহায় অবস্থায় না থাকেন।’
বিবিসি


















