শুরু হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতোমধ্যে প্রচারণাভিযান শেষ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। জনমত জরিপগুলো বলছে, মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবার।
স্থানীয় সময় সোমবার (৫ নভেম্বর) প্রচারণার সময় শেষবারের মতো ফিলাডেলফিয়ার মঞ্চে ওঠেন হ্যারিস। এসময় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রচারণার শেষ বক্তৃতা শুরু করেন কমলা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা কে’ তা দেখানোর জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে আছি।
আমি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে প্রস্তুত জানিয়ে কমলা বলেন, আমাদের প্রচারাভিযান আমেরিকান জনগণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমরা আশাবাদী এবং আমরা একসঙ্গে যা করতে পারি তা নিয়ে বেশ উত্তেজিত।
কমলা হ্যারিস আরও বলেন, ভোটারদের এক দশকের রাজনীতির পাতা উল্টানোর সুযোগ আছে এবার। যা ভয় ও বিভাজন দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
মূলত, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হঠাৎ করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ এসেছে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার সামনে। তাই নির্বাচনী প্রচারণায় সময়ও পেয়েছেন কম। কিন্তু এ অল্প সময়েই নিজের বাকপটুতা এবং প্রশাসনে নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্পের বিপরীতে শক্ত অবস্থান দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এবারের মার্কিন নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান ছাড়াও স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংস্কার, অভিবাসন নীতি এবং বৈশ্বিক ইস্যু বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা-লেবাননে ইসরায়েয়েলি আগ্রাসনের ব্যাপারে সরকারের ভবিষ্যৎ নীতি বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে।