‘প্রধানমন্ত্রী সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন, তাই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা’

0
177
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুক্রবার র‌্যাব মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান। আর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এ কারণে সম্মেলন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সমাবেশস্থলে র‌্যাব মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, দুই জঙ্গি পালিয়ে গেছে- আমরা অস্ব্বীকার করব না, এটা আমাদের ব্যর্থতা। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে পালিয়েছে এবং আমরা এখনও তাদের ধরতে পারিনি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্যই আমার দুর্বলতা থাকলে স্বীকার করব। জঙ্গি তৎপরতা এখনও অব্যাহত আছে। কিন্তু আমরাও আমাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, পাহাড়ি এলাকায় একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষণ চলছিল। আমরা তাদের ধরে ফেলেছি। ফলে জঙ্গিরা তেমন কিছু করার সুযোগ পাবে বলে আমরা মনে করি না।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে কোনো অপশক্তিই কিছু করতে পারবে না।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটাকে আমি রাজনৈতিক উত্তাপ হিসেবে দেখি না। রাজনীতিতে সরকারি ও বিরোধী দল থাকবে। এটাকে রাজনীতির স্বাভাবিক গতি বলে মনে করি। এটা হবেই, যেহেতু সামনে নির্বাচন। তবে এটাকে কেন্দ্র করে অন্য কোনো অপশক্তি কিছু করতে পারবে বলে মনে করি না।

এদিকে সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিশ্বে যত বড় বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বারবার তাঁর জীবননাশের চেষ্টা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এসব বিষয় সামনে রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, এসবি, র‌্যাব ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তিনি সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে সিসি ক্যামেরা, ডগ স্কোয়াড, আর্চওয়ে স্থাপনসহ সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন যেন উৎসবমুখর পরিবেশে, নির্বিঘ্নে হতে পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির সহযোগীসহ অনেককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব।

কিছু রাস্তা বন্ধ: সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের কিছু রাস্তা বন্ধ বা ডাইভারশন করা হবে। সেগুলো হলো- কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং। এসব সড়ক পরিহার করে বিকল্প পথে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.