প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবদের সভা, পদ্মা–মেঘনা বিভাগসহ যা আলোচনায়

0
112
বাংলাদেশ সচিবালয়

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র বলছে, সবশেষ সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ১৮ আগস্ট। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল সভায় অংশ নেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সব সচিব উপস্থিত ছিলেন। করোনা মহামারির পর এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী সশরীর সচিবালয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন।

সভায় যা আলোচনা হতে পারে

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এবারের সচিব সভায় ১০টি আলোচ্য সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ নম্বরে আছে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়টি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, সচিব সভায় দেশে চলমান খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এই খাতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে, সেসব চ্যালেঞ্জ সমাধানে কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে আগে থেকেই মিতব্যয়ী হতে আহ্বান জানিয়েছেন।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এবারের সচিব সভায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত রাখার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দেশে এখন অর্থনৈতিক সূচকের প্রায় সব কটিই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দেশের মূল্যস্ফীতি এখন প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভবিষ্যতেও স্বস্তির খবর নেই। সচিব সভায় অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ তথ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, এবারের সচিব সভায় জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিত নিয়ে আলোচনা হবে।

পেট্রোবাংলার তথ্য বলছে, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুটের মতো। কয়েক মাস আগেও ৩২০–৩৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা গেছে । এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৭০–২৮০ কোটি ঘনফুট । এতে বিদ্যুৎ, সারকারখানা, সিএনজি স্টেশন, আবাসিক, শিল্পকারখানা—সব খাতেই গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য বলছে, এবারের সচিব সভায় প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচ্য সূচিতে আরও আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা; কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারের জোগান নিশ্চিত করা; পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে করণীয় ঠিক করা; সরকারি কাজে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করা; সরকারি সেবা দিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারবিষয়ক পরিকল্পনা; ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিষয়ে পর্যালোচনা এবং সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিয়ে আলোচনা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, চলমান বিষয়ে সচিব সভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত আসবে। সেসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নেরও তাগিদ থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.