আজ থেকে দেশের ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের দর ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা করে পাবেন। বর্তমানে আন্তঃব্যাংক এক্সচেঞ্জ মার্কেটে ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা হলেও ২০১৯ সালের সরকারি সিদ্ধান্তের আড়াই শতাংশের সঙ্গে এখন ব্যাংকগুলো আরও আড়াই শতাংশ যুক্ত করবে।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) গত শুক্রবার যৌথ সভায় প্রবাসীদের জন্য ডলারের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে সরকার ২০১৯ সালে দুই শতাংশ প্রণোদনা চালু করে এবং পরে তা বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়।
করোনার পর অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং হুন্ডি ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ডলারের ব্যাপক সংকট তৈরি হয়। এতে করে দর হুহু করে বেড়ে গত বছর ১১৪ টাকায় উঠে যায় প্রতি ডলারের দাম। এর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দর ঠিক করে আসছে ব্যাংকগুলো।
শুরুতে প্রতি ডলারের দাম রেমিট্যান্সে ১০৮ এবং রপ্তানিতে ৯৯ টাকা ঠিক করা হয়। পর্যায়ক্রমে উভয় ক্ষেত্রে ডলার কেনার দর ১১০ টাকা করা হয়েছে। এর আগে কখনোই কেনার চেয়ে বিক্রির দর কম ছিল না।
বাজার ঠিক রাখতে দর নির্ধারণের পাশাপাশি রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এখন ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে যা ছিল রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। এভাবে রিজার্ভ কমায় নানা উদ্যোগের পরও ডলার বাজারে অস্থিরতা কাটছে না।