কয়েক বছর আগে মিসর থেকে আমদানি করা বড় বড় পেঁয়াজ বাংলাদেশের বাজারে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। দু-তিনটি পেঁয়াজেই এক কেজি হয়ে যায়। তখন দেশি পেঁয়াজের চড়া মূল্যের কারণে অনেকেই ওই পেঁয়াজ কিনতেন। আবার অনেকে আকার দেখে কৌতূহল থেকে কিনেছেন। সে তো দু–তিনটি পেঁয়াজে এক কেজি। কিন্তু যদি বলা হয়, একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি! তাহলে সেই বিস্ময়ের পারদ তো আরও চড়বেই।
এমন একটি পেঁয়াজ তোলা হয়েছিল যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডের নর্থ ইয়র্কশায়ারে ‘হ্যারোগেট অটাম ফ্লাওয়ার শো’তে। দুই দিন আগে প্রদর্শনী কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে সচিত্র পোস্টও দিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই), নিউইয়র্ক পোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম।
ওই পেঁয়াজ প্রদর্শনীতে এসেছে ইংলিশ চ্যানেলের দ্বীপ গার্নসি থেকে। সেখানকার কৃষক গ্যারেথ গ্রিফিনের খামারে পেঁয়াজটি উৎপাদিত হয়। পেঁয়াজটি প্রদর্শনীর এডিবল প্যাভিলিয়নে রাখা হয়েছিল। ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার জন্য ওই প্যাভিলিয়নে পেঁয়াজের পাশাপাশি বড় আকারের বাঁধাকপি, শসা, গাজরও এনেছেন কৃষকেরা। হ্যারোগেট অটাম ফ্লাওয়ার শোর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এ বছর প্রদর্শনীটি চলে ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর।
হ্যারোগেট অটাম ফ্লাওয়ার শো কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্যারেথ গ্রিফিনের পেঁয়াজটির ওজন ১৯ দশমিক ৭৭ পাউন্ড অর্থাৎ ৮ দশমিক ৬৭ কেজি। যা এর আগে ২০১৪ সালে এই প্রদর্শনীতে আনা বৃহদাকারের আরেকটি পেঁয়াজকেও ছাড়িয়ে গেছে। ওই পেঁয়াজর ওজন ছিল ১৮ দশমিক ৬৮ পাউন্ড তথা ৮ দশমিক ৪৭ কেজি। সেটি উৎপাদন করেছিলেন টনি গ্লোভার নামের এক কৃষক।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, টনি গ্লোভারের ওই পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজনের পেঁয়াজ। তার স্বীকৃতিকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে টনি গ্লোভারের ওই স্বীকৃতি যে এখন গ্যারেথ গ্রিফিনের ঘরে যাচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা যেতে পারে, গ্যারেথের গিনেস রেকর্ডের স্বীকৃতি এখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ব্যাপার মাত্র। হ্যারোগেট অটাম ফ্লাওয়ার শো কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী গ্যারেথের পেঁয়াজের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে গিনেস কর্তৃপক্ষ।