স্বার্থপর মার্টিনেজ, অচেনা জেকো আর লুকাকুর মিস

0
118
ইন্টারকে ভরসা দিতে পারেননি আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মার্টিনেজ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হেরেছে ইন্টার মিলান। প্রথমার্ধে সিটিজেনদের রুখে দেওয়ার কৃতিত্ব ইতালির ক্লাবটির। দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলতে শুরু করে ইনজাগির দল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেনও, হার তাদের প্রাপ্য নয়।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানসিটির মিডিফিল্ডার রদ্রির করা গোলে হেরেছে ইন্টার মিলান। গোল হজম করার পর ইন্টার আরও মরিয়ে হয়ে খেলেছে। গোল শোধ করে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ নিয়ে যাওয়ার দাবিদারও ছিল তারা। কিন্তু ইন্টারের তিন স্ট্রাইকারের ভুলে সেটা সম্ভব হয়নি।

দলটির আক্রমণের সেরা ভরসা মার্টিনেজ। তিনিও স্বার্থপরের মতো গোলে শট নিয়ে একটি সহজ সুযোগ হারিয়েছেন। ম্যানসিটির বক্সে তার সামনে ছিলেন গোলরক্ষক এদেরসন মোরালেস। তবে শট নেওয়ার এঙ্গেল ভালো ছিল না। মার্টিনেজের সুযোগ ছিল ফাঁকায় থাকা লুকাকু কিংবা মিডফিল্ডার ব্রোজোভিককে পাস দেওয়ার।

মার্টিনেজ তা না করে গোলে শট নেন। এতোটাই ভালো সুযোগ ছিল যে, শট নেওয়ার পরই ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওয়ালা হাঁটু মাটিতে গেড়ে ভূপাতিত হয়ে যান। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসনের অসাধারণ সেভেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। ম্যাচে মার্টিনেজের রেটিং দশে চার।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে অসাধারণ খেলেছেন এদেন জেকো। দলকে ফাইনালে তোলার অন্যতম নায়ক এই বসনিয়ান স্ট্রাইকার। কিন্তু ফাইনালে খুবই বাজে খেলেছেন তিনি। সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। গোলে শট নিতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিট হতেই তাকে বদলি করে তুলে নেন কোচ ইনজাগি। ম্যাচে তার রেটিং দশে মাত্র তিন।

ফাইনালে শুরুর একাদশে লুকাকুকে খেলানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞ। প্রিমিয়ার লিগের ফুটবল সম্পর্কে ধারণা, বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতার কারণে তাকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। তিনি মার্টিনেজ এবং জেকোর চেয়ে ভালোও খেলেছেন। কিন্তু ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ম্যাচের সেরা মিসটিও তারই করা। হেডে গোলটা তার করা উচিত ছিল। কিন্তু এদেরসনের শরীর বরাবর বল পাঠানোয় গোল হয়নি। তার রেটিং পাঁচ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.