পুরান ঢাকায় আবারও প্রকাশ্যে হত্যার চেষ্টা, এবার রুখে দাঁড়াল জনতা

0
20

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে যাচ্ছিল পুরান ঢাকায়। তবে এবার সেখানে রুখে দাঁড়িয়েছেন দায়িত্বশীল পুলিশ সার্জেন্ট ও স্থানীয় জনতা।

রোববার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায় ইলিসিয়াম ভবনের পেছনের গলিতে ঘটে এ ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলানা নামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে ঘিরে ধরে মারধর করতে থাকে ৬–৭ জনের একটি দল। রেদোয়ানের মাথায় মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে উদ্যত হলে, সেখানে উপস্থিত অন্তত ৫০–৬০ জন সাধারণ মানুষ ও দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট দ্রুত এগিয়ে এসে তাদের প্রতিহত করেন।

ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামে দুই হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। তবে বাকি হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকারিয়া খান বলেন, আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের দাবি, তারা শিক্ষার্থী এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে। আহত রেদোয়ান ওয়ারীর এম দাস লেনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে এবং সম্প্রতি এসএসসি পাস করেছে।

তিনি বলেন, রেদোয়ানের মাথায় আঘাত করা হয়েছে, তবে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। কী কারণে হামলা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাদের একেকজনের বক্তব্য একেক রকম। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সময়মতো পুলিশ ও জনতা মিলে ঘটনাটি প্রতিরোধ করতে পেরেছে, না হলে বড় কিছু ঘটতে পারত।

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, হামলাকারীরা নিজেদের শিক্ষার্থী বলছে, আহত ছেলেটিও শিক্ষার্থী। তারা পূর্বপরিচিত ছিল কি না কিংবা কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না- সব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এবার জনতা আর নীরব থাকেনি। সবাই মিলে প্রতিরোধ করেছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আটক দুই যুবককে ঘিরে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, তোদের মতো লোকদের কারণেই দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তোদের আর ছাড় নেই।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.