যদিও সি চিন পিংয়ের রাশিয়া সফরের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে; সফরের সম্ভাব্য সময়ও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী এপ্রিলে কিংবা মে মাসের শুরুর দিকে সি চিন পিং রাশিয়ায় যেতে পারেন। ওই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে জয়ের বার্ষিকী উদ্যাপন করবে মস্কো।
এদিকে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে গতকাল মঙ্গলবার মস্কো পৌঁছেছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। ফ্রান্স, ইতালি, হাঙ্গেরি ও জার্মানি সফরের পর তিনি রাশিয়ায় গেছেন। সফরকালে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। মস্কোর সঙ্গে সি চিন পিংয়ের সম্ভাব্য সফর নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত সোমবার চীন ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ইউক্রেন সংকটের বিষয়ে চীনের কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতি প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থন জানাবেন, সে বিষয়ে কার্যত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে ওয়াং ই মস্কো পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুতিন বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য নেশন’ ভাষণ দেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিতের ঘোষণা দেন। এর ফলে উভয় দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ইস্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার মিত্র চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং গতকাল বলেন, ইউক্রেনকেন্দ্রিক সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। এ ছাড়া সংঘাতে ‘আগুনে ঘি ঢালা’ বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।