বোধ হয় এই দিনের অপেক্ষায় ছিল পিএসজি! অন্তত লিওনেল মেসির মতো মহাতারকার ইমেজ নষ্ট করতে ফরাসিরা কী কূট চালটাই চাললেন। না হলে সৌদি আরবে দু-এক দিনের জন্য যাওয়ায় তো এত বড় শাস্তি হতো না তার।
সৌদিতে ফুরফুরে মেজাজে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া মেসি
পিএসজি বলছে, তাদের কোচ গালতিয়ের ও স্পোর্টি ডিরেক্টর ক্যাম্পোসকে বলে না যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞার খড়্গ জুটেছে। কিন্তু ভেতরের ঘটনা এমন কিছু নয়। মূলত লরেন্ত ম্যাচের পর এমনিতেই দুই বা তিন দিনের ছুটি ভোগ করতে পারতেন পিএসজির খেলোয়াড়রা। মেসিও সেই হিসাব কষে সোমবার সকালে সৌদির বিমানে চড়েন। যাওয়ার বেলায় পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন তিনি। কিন্তু মেসি বিমানে ওঠার পর হুট করেই শিডিউল বদলে ফেলে লিগ ওয়ানের ক্লাবটি।
সেদিন বিকেলেই সবাইকে অনুশীলনের জন্য ডাকেন কোচ। কিন্তু মেসি ততক্ষণে সৌদির কাছাকাছি। তাই এমন অবস্থায় তার ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। যেটাকে পুঁজি করে গুনে গুনে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পিএসজি। যা নিয়ে ফুটবলবিশ্বে চলছে জোর আলোচনা।
পিএসজিতে মেসি থাকবেন কিনা– এ নিয়ে যাও একটু আশা জিয়ে ছিল ক্লাবটির সমর্থকদের, এবারের যাত্রায় সেই আশাও শেষ। তার মানে, এই জুনের পর মেসির প্যারিস অধ্যায় শেষ হচ্ছে। যদিও চুক্তি নবায়ন নিয়েও ইতিবাচক কোনো আভাস ছিল না। ক্লাবের পক্ষ থেকে মেসিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, বেতন কমিয়ে আরও এক মৌসুম থাকার।
কিন্তু মেসি এবং তার বাবা হোর্হে মেসি কিছুতেই সেই প্রস্তাবে সায় দেননি। তাতে তিক্ততা আরও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত পিএসজি নিজ হাতে জবাই করল মেসির সঙ্গে তাদের মধুর সম্পর্কটা। এদিকে মেসি নিয়ম ভেঙে সৌদিতে যাওয়ায় যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাতে এখন বেশ কয়েকটি ক্লাব আর্জেন্টাইন তারকার দিকে হাত বাড়িয়েছে। যার মধ্যে সৌদি মালিকানাধীন নিউক্যাসল অন্যতম।