পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের কীর্তি গড়েছে। এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উভয় দল মিলে সংগ্রহ করেছে ৫১৫ রান! যা ঘটেছে শনিবার রাতে মুলতান সুলতানস ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মধ্যকার ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে এটাই সর্বোচ্চ রান।
রান উৎসবের ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে মুলতান সুলতান্স। যদিও তারা জিতেছে মাত্র ৯ রানে। রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন উইকেটে ২৬২ রানের পাহাড় গড়ে মুলতান। পিএসএল তো বটেই, পাকিস্তানে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ। জবাবে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেটে ২৫৩ রান তুলতে সক্ষম হয় কোয়েটা। এটি পাকিস্তানে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের কীর্তি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এই প্রথম এক ম্যাচে দুই দল আড়াই শ’ ছাড়াল।
এই ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার কায়েস আহমেদ। ৪ ওভারে এই স্পিনার দিয়েছেন ৭৭ রান। পিএসএলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে খরুচে বোলিং। এর আগে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন শহীদ আফ্রিদি। পিএসএলের গত আসরে ৪ ওভারে ৬৭ রান দিয়েছিলেন আফ্রিদি।
এর আগে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান ছিল ৫০১। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে টাইটান্স ও নাইট রাইডার্সের ম্যাচে ওই রান হয়েছিল। এবার হয়েছে ৫১৫ রান। গত রাতের ম্যাচে ভেঙেছে চার ছক্কার রেকর্ডও। এই ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ৩৩টি। চার হয়েছে ৪৫টি। বাউন্ডারি থেকেই রান এসেছে ৩৭৮। ২০১৯ সালে জ্যামাইকা তালাওয়াস ও ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ম্যাচে ৩৬২ রান হয়েছিল বাউন্ডারি থেকে।
রান উৎসবের ম্যাচের শুরুটা করেছিলেন উসমান খান। বিপিএল মাতানো উসমান এদিন মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। ৪৩ বলে করেন ১২০ রান। এর আগে ৪১ বলে সেঞ্চুরি ছিল রাইলি রুশোর। পাকিস্তানের স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে একটি। ২০২০ সালে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাপে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন খুশদিল শাহ। তিনিও পিএসএল খেলেন মুলতান সুলতানের হয়ে।
কায়েস আহমেদের বিপক্ষে মাত্র ১২ বল খেলেই ৫৪ রান করেছেন উসমান। নির্দিষ্ট কোনো বোলারের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি ব্ল্যাস্টে টম কারেনের বিপক্ষে ৫৩ রান নিয়েছিলেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তবে তার জন্য তাকে খেলতে হয়েছিল ১৫ বল।