মার্কিন সংস্থা ইউএস শর্ট সেলার ফার্মের হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সম্পদমূল্য গত সপ্তাহে কমে গেছে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের বেশি। বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তিনি ৩ নম্বর থেকে নেমে গেছেন সাতে। একইসঙ্গে তার ব্যবসায়িক ক্যারিয়ারে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে তার ব্যবসার ধরন ও স্বচ্ছতা নিয়ে।
এই যখন পরিস্থিতি তখন পুরোনো এক অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, আদানি ও মোদির মধ্যে অনেক বছর ধরে ব্যবসা ও রাজনীতি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।
তাদের দুজনেরই ক্যারিয়ারের যাত্রা পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে। রাজ্যের একজন ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন গৌতম আদানি। আর নরেন্দ্র মোদি একই রাজ্য থেকে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন।
ফলে বিরোধীদের এই অভিযোগ সাধারণের মনকে পুরোপুরি পাশ কাটিয়ে যেতে পারেনি। কিন্তু আসলে এ অভিযোগ কতটা সত্য? এই অভিযোগের জবাবে কী বলছেন এই দুই ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব?
মোদি বিরোধীদের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন আদানি। ২০১৪ সালে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতির সব পক্ষের সঙ্গেই তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে তিনি নিজে রাজনীতি এড়িয়ে চলেন।
আদানি মনে করেন তিনি একজন লাজুক মানুষ। তিনি জানান, তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পেছনে রয়েছেন মোদি বিরোধীরা। তাদের ক্রমাগত সমালোচনার কারণেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আদানি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মানুষ আদানিকে চিনতে পেরেছে রাহুলজির জন্য। কারণ, তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং এরপর থেকে তাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আসছেন।
মোদি সরকারও আদানিকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। মোদি আদানির করপোরেট বিমান ব্যবহার করার পর এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। তখন আদানি জানিয়েছিলেন, মোদি ‘পুরো টাকা পরিশোধ করেন’।