
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক স্থাপনা। গত মার্চে পারমাণবিক কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পারমাণবিক কেন্দ্রটির আশপাশে ভারী গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য কিয়েভ ও মস্কো পরস্পরকে দায়ী করছে।
গতকালের এই বৈঠককে সামনে রেখে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হামলার জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। স্থাপনাটিকে সেনাঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ মস্কোর বিরুদ্ধে। এই অঞ্চলটিকে যত দ্রুত সম্ভব বেসামরিকীকরণে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই তিন নেতা।
জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে রাশিয়ার অধীনে কর্মরত এক ইউক্রেনীয় কর্মী স্থাপনাটিতে সম্ভাব্য পারমাণবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, বিগত সপ্তাহগুলোতে স্থাপনাটি ‘অব্যাহত সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিণত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিন নেতা এ আহ্বান জানান।
ওই কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, ‘যা ঘটছে, তা ভয়াবহ এবং কাণ্ডজ্ঞান ও নীতি-নৈতিকতাকে ছাড়িয়ে গেছে।’
গতকাল দিনের শেষ দিকে ইউক্রেন সরকারের একটি দাপ্তরিক টুইটারে বলা হয়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক করপোরেশন রোসাটমের সদস্যরা ‘জরুরি ভিত্তিতে’ জাপোরিঝিয়া কেন্দ্রটি ত্যাগ করেছেন। সেখানে ‘আকস্মিক ছুটি’ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, বেলবেক সামরিক বিমানবন্দরের কাছে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
তবে বিস্ফোরণে কারও জখম হওয়ার এবং কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিভাস্তোপোলের রাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিকট বিস্ফোরণে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে।