হিনা রাব্বানি খার আরও বলেন, ভারতের দখলদার কর্তৃপক্ষ আবাসিক ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরিদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাশ্মীরিদের জীবিকা থেকে বঞ্চিত করছে।
শুক্রবার মানবাধিকার পরিষদে ভারতের প্রতিনিধি সীমা পুজানি এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ যখন নিজেদের জীবন, জীবিকা ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে, তখন ভারতকে নিয়ে তাদের মাথাব্যথার মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, রাষ্ট্রটি তাদের অগ্রাধিকারের জায়গাগুলো গুলিয়ে ফেলেছে। আমি দেশটির নেতা ও কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেব তাঁরা যেন ভিত্তিহীন প্রচারণা না চালিয়ে নিজেদের জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করেন।’
এখন ওষুধের অভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে মানবাধিকার পরিষদে তুর্কি প্রতিনিধি ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) যে মন্তব্য করেছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সীমা পুজানি।
সীমা পুজানি আরও বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে তুর্কি প্রতিনিধি যে মন্তব্যগুলো করেছেন, তা নিয়ে আমরা মর্মাহত। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দিচ্ছি তাঁদের।’
এবার পাকিস্তানে বেতন–ভাতা বন্ধের গুজব
সীমা পুজানি বলেন, ‘কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরকে ওআইসির বিবৃতিতে যেভাবে অযৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাস্তবতা হলো, কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের গোটা এলাকা ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং চিরকাল তা-ই থাকবে। বেআইনিভাবে ভারতের অঞ্চল দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। ওআইসি তাদের সদস্যদেশ পাকিস্তানকে রাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ বন্ধ এবং ভারতীয় ভূখণ্ড দখল থেকে সরে আসার আহ্বান জানায়নি। বরং ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ অপপ্রচারে লিপ্ত হওয়ার ঘৃণ্য অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে পাকিস্তানকে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম অপব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে ওআইসি।’