পাকিস্তানকে প্রায় ৪৪ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের

0
361
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ বৈঠকের পরেই পাকিস্তানকে এফ-১৬ বিমানের সরঞ্জাম ও প্রকৌশলগত সহযোগিতার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: এএফপি

চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের।

কিন্তু মার্কিন সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এ সহায়তার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। পাকিস্তানকে প্রায় ৪৪ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে ৪৫০ কোটি ডলারের বদলে পাকিস্তান এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রায় ৪১০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা পাবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে দুই দেশের মধ্যে ‘পাকিস্তান এনহ্যানসড পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট’ (পেপা)–এর আওতায় এই অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকে পাকিস্তান। তবে হুট করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানভিত্তিক পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওয়াশিংটন সফরের তিন সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০০৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয় কেরি লুগার বারম্যান আইন। এই আইনে বলা হয়, ৫ বছর ধরে পাকিস্তানকে মোট সাড়ে ৭০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এর আগে এই অর্থ সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে ৪৫০ কোটি ডলারে নামিয়ে আনে যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেটি আরও কমিয়ে ৪১০ কোটি ডলারে নিয়ে এল তারা।

এর আগে আরও দুই দফায় পাকিস্তানকে দেওয়া অর্থ সহায়তার পরিমাণ কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে পাকিস্তানের ভূমিকার বিষয়ে অসন্তোষের কারণে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৩০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা কমিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর সাত মাস আগে আরও একবার অর্থ সহায়তা কমিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাস দমনে আশানুরূপ সাফল্য দেখাতে না পাওয়ায় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আরও ১০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় পেন্টাগন।

গত মাসে ইমরান খানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময়ও পাকিস্তানের প্রতি নিজের হতাশার কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইমরান খানের সামনেই ইসলামাবাদের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘বহু বছর ধরে পাকিস্তানকে আমরা বছরে ১৩০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সমস্যা হলো, পাকিস্তান আমাদের জন্য কিছুই করছিল না। তারা আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছিল। আরও দেড় বছর আগেই আমি এই অর্থ সহায়তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.